বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস (১৮৩০-১৯৭১) (হার্ডকভার)
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস (১৮৩০-১৯৭১) (হার্ডকভার)
৳ ১২০০   ৳ ১০২০
১৫% ছাড়
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

বিশ শতকে বাংলা ও বাঙালির ইতিহাসের প্রধানতম ঘটনা কি, সে বিষয়ে হয়তাে নানারকম বিতর্ক ও প্রশ্নই উঠবে। কিন্তু এই শতকে কারা ছিল এ দেশের প্রধান নিয়ামক শক্তি, সে প্রশ্নে সম্ভবতঃ একটাই উত্তর আসবে ছাত্ররা। বস্তুতঃ এদেশের ছাত্ররা এবং একমাত্র ছাত্ররাই ছিল বিশ শতকে বাংলা ও বাঙালির জীবনে প্রধানতম ঘটনা। 
যদিও উনিশ শতকের গােড়া থেকেই আধুনিক বাঙালির যাত্রা শুরু, তথাপি উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে ছাত্ররা একটি শক্তি হিসেবে বাংলার সমাজে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এই সূত্র যােগেই বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস রচনায় ১৮৩০ সাল মাইলস্টোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। 
কিন্তু তখনাে পর্যন্ত আধুনিক অর্থে ছাত্র আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটেনি। হিতকরী কর্মকাণ্ড, কল্যাণ সমিতি ইত্যাদির মধ্যেই ছাত্রদের কর্মকাণ্ড সীমিত ছিল, যদিও উনিশ শতকের প্রথমার্ধ থেকেই ‘ইয়ংবেঙ্গল’ ছাত্রসমাজ সামাজিক বিদ্রোহের সূচনা করে রেখেছিল। ১৮৪০ সালে যখন বৃটিশ সরকার সিদ্ধান্ত নিল বাংলার সকল জেলাতে একটি করে সরকারী কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে, একমাত্র তখনই কলকাতার বাইরে সারা বাংলায় ছাত্র সমাজের সংগঠিত কর্মকাণ্ড জেগে ওঠার সুযােগ সৃষ্টি হয়। 
তবে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ, বিশেষ করে নব উত্থিত বাংলার মুসলমান ছাত্র সমাজের জন্যে ১৯২১ সালের একটি ঘটনা ছিল অপেক্ষিত। এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা শুধুমাত্র পূর্ব বাংলা অঞ্চলের মুসলমান ছাত্রদের জন্যে নয়, এ অঞ্চলের সমগ্র মুসলমান মধ্যবিত্ত সমাজের জন্যেও তা গুরুত্বপূর্ণ। সেদিন কেউই হয়তাে ভাবতেও পারে নি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজই একদিন বাঙালির স্বাধীন আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে প্রধান ভূমিকা পালন করবে। 

বৃটিশ বিরােধী ছাত্র আন্দোলনের পর পাকিস্তানের কাঠামােতে এ দেশে ছাত্র সমাজ একটি সংগঠিত শক্তি হিসেবে সমগ্র রাজনৈতিক
ইতিহাসকেই নিয়ন্ত্রণ করেছে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে সামরিক শাসন বিরােধী আন্দোলন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ছাত্ররাই ছিল একমাত্র আপােষহীন শক্তি। গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় ছাত্রদের এখনাে বিকল্প নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অন্যান্য জাতীয় সংকটকালে জনগণের কাছে পাশাপাশি ছাত্ররা তাদের শিক্ষার সংগ্রামকেও উচ্চকিত করে তুলেছে। আজ বাংলাদেশের শিক্ষার হার যে ৫৬% অর্জন করেছে এটা ছাত্রদের, বলতে গেলে একমাত্র ছাত্রদেরই কৃতিত্ব। কারণ শিক্ষা সুযােগ নয়, অধিকার' এই শ্লোগান সকলের আগে এদেশে ছাত্ররাই প্রথম উচ্চকিত করে তুলেছিল। ফলে দুনিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় একমাত্র বাংলাদেশের ছাত্ররাই তাদের স্বতন্ত্র ভূমিকাকে জাতির কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। আর এই একটি মাত্র কারণেই বাংলাদেশের ছাত্রদের নিয়ে জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রেরও শেষ নেই। এই ষড়যন্ত্রের একটি বড় সফলতা জনগণ থেকে ছাত্রদের দিন দিন বিচ্ছিন্ন করে তােলা, ছাত্রদের ঘাড়ে সন্ত্রাসের দায়ভাগ তুলে দেওয়া এবং পরীক্ষায় দুর্নীতির কলঙ্ক লেপন করা। ১৮৩০ সালে বাংলার ছাত্র সমাজ দেশ ও জাতির প্রতি অসীম দায়িত্ব নিয়ে যে মহাযাত্রা শুরু করেছিল, ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তার একটা সফল পরিণতি আসায় ছাত্রদের ঘরে ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও তারা যেতে পারে নি। ১৯৭৫ সালের পর দুই-দুইটি সামরিক শাসন ছাত্রদের আবার রাজপথে নিয়ে আসে। বাংলাদেশের ছাত্রদের এই গৌরবােজ্জ্বল ঐতিহ্যের ইতিহাস রচনায় ড. মােহাম্মদ হাননান পথিকৃৎ। তিনি প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র ইতিহাসকার, যিনি ছাত্রদের এই গাঁথাকে ১৮৩০ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত একটি ফ্রেমে এই গ্রন্থে তুলে ধরেছেন। 
ড. হাননান ১৯৮৪ সালে প্রথম এই ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস রচনার সূত্রপাত করেছিলেন। এ পর্যন্ত ছাত্রদের ইতিহাসের পাঁচটি খণ্ড আলাদা আলাদাভাবে প্রকাশিত হয়েছে। 
পাঠকদের বিপুল চাহিদার মুখে বিভিন্ন খণ্ডের কয়েকটি সংস্করণের পর ১৮৩০ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ছাত্রদের ইতিহাসের কাহিনী একটি খণ্ডে এই গ্রন্থে সংযুক্ত করা হয়েছে। বৃহৎ কলেবরের এই সংস্করণ একুশ শতকের নতুন প্রজন্মের পাঠকের কাছে এক আলাদা অভিধায় চিহ্নিত হবে, ইতিহাসের আলােকে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র রাজনীতিও নতুন প্রজন্মের কাছে তার কর্তব্যকে স্থির করতে সক্ষম হবে। 
যতােদিন গণতন্ত্র এদেশে স্থায়ীভাবে মুক্তি না পাবে, ততােদিন হয়তাে ছাত্রদের রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সুযােগ নেই, যদিও একুশ শতকের নতুন পৃথিবী বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের কাছে নতুন কর্তব্য ও দায়িত্বকে উপস্থিত করতে চায়। এদেশের প্রতিটি মানুষ শিক্ষার অধিকার ভােগ করবে, গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অক্ষুন্ন থাকবে, সামরিক শাসন আর জনগণের কাধে চড়ে বসবে না পবিত্র ধর্মের বিকৃত ব্যবহার হবে না, ধর্ম মুক্তি লাভ করবে রাজনৈতিক ব্যবসায়ীদের হাত থেকে—একুশ শতকের বাংলাদেশ এই প্রতিশ্রুতির বিনিময়েই শুধু এদেশের ছাত্রদের ঘরে ফেরাতে পারবে ।
ড. মােহাম্মদ হাননান, দেশের শিকড় অনুসন্ধানী তরুণ গবেষক, যিনি বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের সেই গৌরব গাঁথাকে এক বিরল প্রতিভার গুণে সমৃদ্ধ করে তুলেছেন। দেশের ছাত্র সমাজের কাছে তাদের নিজেদের ইতিহাসের এই মহাকাব্য এক দুর্লভ সংগ্রহ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।

Title : বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস (১৮৩০-১৯৭১)
Author : ড. মোহাম্মদ হাননান
Publisher : আগামী প্রকাশনী
ISBN : 9789844014992
Edition : 2013
Number of Pages : 836
Country : Bangladesh
Language : Bengali

ড. মােহাম্মদ হাননান সহস্রাব্দ ও শতাব্দীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইত্যাদির ওপর যে। সংগ্রহ-সংকলনটি করেছেন তা অনুসন্ধিৎসু যে-কোনাে পাঠকের কাছেই বিশ্বকোষের স্বাদ এনে দেবে। শতাব্দীর বাংলাদেশ, শতাব্দীর বিশ্ব, সহস্রাব্দের বাংলাদেশ, সহস্রাব্দের বিশ— গ্রন্থ চারটিকে নানাভাবেই সাজানাে যায়। এখানে পাঠক বাংলাদেশকে পাবেন দু’ভাবে-শতাব্দী ও সহস্রাব্দের মতাে করে, আবার বিশ্বকেও পাবেন শতাব্দীর পাশাপাশি সহস্রাব্দের পটভূমিতে। শতবছর অথবা হাজার। বছরের পরিক্রমায় বাংলাসমাজ ও বিশ্বসমাজ এভাবেই গ্রন্থ চারটিতে মূল্যায়িত হয়েছে। লেখক-গবেষক হিসেবে ড. মোহাম্মদ হাননান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু বিষয়ে অগ্রসেনানী। তিনিই প্রথম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখেছিলেন, যা ১৯৯১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। সেই থেকে শুরু, এখন পর্যন্ত তিনি নিরলসভাবে তাঁর অভিযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর ওপরও রয়েছে তাঁর অনেক গবেষণা। ২০২০ সালের বইমেলায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বৃহৎ গ্রন্থ শতাব্দীর বঙ্গবন্ধু । বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ, তত্ত্ব ও বাস্তবে ইতিহাসের একটি পরিপূরক ঘটনা। ড. হাননানের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গ্রন্থগুলো পড়লে এ সত্যতার প্রমাণ মেলে। তিনি বাংলাদেশ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ১২১ (২০২১ সাল পর্যন্ত)। পুরস্কার হিসেবে অর্জন করেছেন সিভিল সার্ভিসের রেক্টর মেডেল, সিকান্দার আবু জাফর জন্মশতবর্ষ স্বর্ণপদক (সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ২০১৯) এবং অন্যান্য। জন্ম: ঢাকার বিক্রমপুরের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামে।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]